প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আজকে একটা স্থিতিশীল পরিবেশকে নষ্ট করার অনেক চক্রান্ত হচ্ছে। যাই হোক, আমি জনগণের প্রতি বিশ্বাস করি। তারা যদি চায়, আমরা থাকবো। আমি বঙ্গবন্ধুর নীতিতে বিশ্বাস করি, মাটি-মানুষ নিয়ে আমাদের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখবো। আমি একটা অনুরোধ করবো আপনাদের, যাই দেখেন এবং শোনেন অন্ততপক্ষে বাস্তব চিত্রটা বিবেচনায় নিয়ে একটা মতামত দেবেন, সেটাই আশা করি।






বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে অমর একুশে বইমেলার উদ্বোধনী তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন জাতির পিতার আরেক কন্যা শেখ রেহানা।






প্রধানমন্ত্রী বলেন, গণতান্ত্রিক ধারা যাতে অব্যাহত থাকে সে পদক্ষেপ নিয়েছি। গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলেই আজকে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারছি। জ্বালাও-পোড়াওসহ নানা আন্দোলন এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করেও আমাদের অর্থনীতির গতি সচল রাখতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের মনে হয়, দেশের অনেকে এই অর্থনৈতিক গতি আর স্থিতিশীলতা পছন্দ করে না।






তিনি বলেন, কারো যদি ক্ষমতায় যাওয়ার ইচ্ছে থাকে তারা জনগণের কাতারে দাঁড়াবে, ভোট করবে। মানুষ ভোট দিলে ক্ষমতায় যাবে।






অনির্বাচিত সরকার নিয়ে আসার পেছনে কলকাঠি নাড়ে এমন জ্ঞানীদের কঠোর সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, দেশে খুব জ্ঞানী বিজ্ঞানী আছেন। তাদের মুখে শুনলাম, দু/চার বছরের জন্যও যদি অনির্বাচিত সরকার আসে, তাহলে তো মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যাবে না। কারা বলে সেটা আপনারা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন। অনির্বাচিত সকরকার তো আপনারা দেখেছেন।






এখানের ছাল ওখানে নিয়ে নানাভাবে দল করার চেষ্টা, আমাদের রাজনৈতিকদের খারাপভাবে উপস্থাপন করে নানা অপকর্ম করার চেষ্টা করেছে
তিনি আরও বলেন, মহাভারত অশুদ্ধ হবে না, অশুদ্ধ হবে আমাদের সংবিধান। লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমাদের স্বাধীনতা এবং তৎপরবর্তী বঙ্গবন্ধুর দেওয়া সংবিধান। অনির্বাচিত সরকার এলে সেটি অশুদ্ধ হবে।






প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকালকার যুগ ডিজিটাল যুগ। ভাষা সাহিত্য চর্চায়ও ডিজিটালাইজড করতে পারি। বইগুলো ডিজিটাল ভার্সনে করতে হবে। বইগুলোর অডিও ভার্সনও করা যেতে পারে। প্রত্যেকটা সাহিত্যকর্মের অডিও ভার্সন করতে পারলে চলতে-ফিরতেও শোনা যাবে, পড়া যাবে। সেভাবে আধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে আমাদের চলা উচিত। যদিও বই উল্টে পড়ার মজাই আলাদা।






তিনি বলেন, আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশের সুযোগ সবচেয়ে বেশি ভোগ করেছি করোনা মহামারি মোকাবিলায়। সব বন্ধ থাকলেও ভিডিও কনফারেন্সে সারাদেশের সঙ্গে আমরা সংযুক্ত থাকতে পেরেছি। সবকিছু স্বাভাবিক রাখতে পেরেছি।






বাংলা একাডেমির সভাপতি সেলিনা হোসেনের সভাপতিত্বে এবং রূপা চক্রবর্তী ও শাহাদাত হোসেন নিপুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব আবুল মনসুর, পুস্তক প্রকাশক সমিতির সভাপতি আরিফুর রহমান ছোটন, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মুহাম্মদ নূরুল হুদা। এছাড়াও মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, সরকারের পদস্থ কর্মকর্তা ও ভাষাপ্রেমী-বইপ্রেমীরা উপস্থিত ছিলেন।





